Header Ads

Header ADS

যেভাবে চায়নার সাথে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করবেন!!!


 যেভাবে চায়নার সাথে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করবেন!!!


্বল্প মূল্যের কারণে সারা বিশ্বে চীনা পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। চায়নার বাজার থেকে পণ্য কিনে খুব সহজেই আপনি আমদানি ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন। ইলেকট্রিক পণ্য থেকে শুরু করে নানা রকম বিচিত্র পণ্যের সম্ভার আছে দেশটিতে।
china
China Business

১. প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন পাইকারি হারে আপনি কোন পণ্যটি কিনতে চান। যে পণ্যটি কিনতে চাইছেন, সেটা মান কেমন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন।চায়নার আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা ক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে এই মূহুর্তে যাবতীয় শিশুপণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন। অনলাইন চার্জ দিয়ে  দেখুন রিভিউ আছে কিনা।
এমন একটি পণ্য নির্বাচন করুন যা বেচা-কেনা করতে আপনি নিজে ভালোবাসেন। মানুষের কাছে পণ্যটির চাহিদার ব্যাপারটিও মাথায় রাখুন, সেক্ষেত্রে ট্রেন্ডি আইটেম যেমন, স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও আপনার পণ্যের তালিকায় থাকতে পারে।
২. নিজে নিজে কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাথুন। যেহেতু আপনি দূরে থেকে পন্য ক্র্য়ের ব্যাপারটি পরিচালনা করবেন সেহেতু আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি,পরিবহন অন্যান্য ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বুঝে নিন।
৩. প্রাথমিকভাবে এলসি ছাড়া আপনার ব্যবসায়-বাণিজ্যের সাহায্য করতে পারবে এমন আমদানিকারকের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে পণ্যের দাম পরিশোধ থেকে শুরু পণ্য আমদনিতে সুবিধা পাবেন
আবার, নিজে যদি টাকা পেমেন্ট করতে চান তবে অনেক চাইনিজ কোম্পানি আছে, যারা ব্যাংক ছাড়া অনলাইনে যেমন, মানি বুকার, পে পাল ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ লেনেদেন করে। এমন হলে, দেশে ডলার কিনে অনলাইনের মাধ্যমে চাইনিজ কোম্পানিকে পে করতে পারেন। এক্ষেত্রে পণ্য আপনার হাতে কীভাবে আসবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন
নমুনা হিসেবে খুব কম পণ্য আনতে চাইলে (যা আসলে উপহার পর্যায়ে পড়ে), তবে খেয়াল রাখবেন, পণ্য যেন সরকারি সার্ভিসের মাধ্যমে আসে। তা না হলে, ডি এইচ এল বা ইউ পি এস-এ কর হিসেবে আপনাকে অনেক টাকা দিতে হবে। আর যদি মাঝারি বা পেশাদারভাবে কাজটি করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই LC মাধ্যমে যেতে হবে।
যাহোক, অনেক সময়ই পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি আমদানিকারকদেরকে যাবতীয় সাহায্যে সহযোগীতা প্রদান করে থাকে । আপনিও যদি জন প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চান তবে তাকে অবশ্যই চায়নার ব্যবসাক্ষেত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে ।
৪. নিজে যদি সেলস-মার্কেটিং করতে না চান, তবে এবার দেশে খুচরা পরিবেশকের সন্ধান করুন। বাড়তি স্টোরেজ ফি, সেলস কস্ট পরিহার করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাস করুন। পণ্য আমদানি করার সাথে সাথেই স্থানীয় ক্রেতাদের সাথে কেনা-বেচার কাজটি সেরে ফেলুন
৫. বেশ কিছু পণ্যের ফরমায়েশ পাওয়ার পর পণ্যগুলো নিয়ে একটু এ্যানালাসিস করুন। পণ্য ক্র্য়-বিক্রয় থেকে আপনি কতটুকু লাভ করছেন সেই হিসাব করুন। কি ধরনের পণ্য কিনলে আপনার লাভের ধারা বজায় থাকবে তা নিয়ে গবেষণা করুন। এভাবেই একটু মাথা খাটিয়ে চায়না থেকে পণ্য কিনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল আমদানিকারক বা ব্যবসায়িক
তথ্যসূত্র: আমিও পারি ডটকম।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.