জামায়াত নেতা রাজ্জাকের পদত্যাগ....
জামায়াত নেতা রাজ্জাকের পদত্যাগ....
জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির নেতা
ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ পত্রে তিনি জামায়াত বিলুপ্ত
করার সুপারিশও করেছেন। এটা দেখার পর মনে হচ্ছে, জামায়াতে
ইসলামীর রাজনীতিতে আরো বিস্ফোরণ অপেক্ষা করছে।
গত পড়শু দিন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি
মুজিবুর রহমান মঞ্জু‘র ফেইসবুক স্ট্যাটাসেও দলটির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে
বিশ্লেষণ করেছেন। এই স্ট্যাটাসটি গতকাল দৈনিক মানবজমিন হুবহু ছেপেছে।
![]() |
Jamat Leader Abdur Rajjak |
ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাকের
পদত্যাগ এবং মুজিবুর রহমান মঞ্জুর ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া রীতিমত উত্থাল। তাদের পক্ষেই
মতামত বেশি দেখা যাচ্ছে। ভিন্নমতও রয়েছে। তবে খুবই কম।
ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী ২০ দলীয়
জোটেও নিষ্ক্রিয়তার নীতি গ্রহন করার খবর বের হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ২০ দলীয়
জোটে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোন দল নেই বললেই চলে। বাকী যারা রয়েছে সবই
সাইনবোর্ড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল। কোনটা হচ্ছে এক ব্যক্তির শো আপ পার্টি। এতে ২০
দলীয় জোটেও একটি বড় টানা পোড়েন তৈরি হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রমান হয়েছে শেখ
হাসিনার রাজনীতির কাছে জোট ফোট কোন পাত্তা পায় না। কাকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়
সেটা শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রমান করে দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর আজকের এই পরিণতি
শেখ হাসিনার রাজনীতির সাফল্যই বলা চলে।
বলতে পারেন শেখ হাসিনা রাতের অন্ধকারে ভোট
ডাকাতি করলে তো আর কিছু করার নেই। তবে এটাও তাঁর রাজনৈতিক কৌশলেরই অংশ। এটা ছাড়া
শেখ হাসিনার সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না। তাই তিনি এর মাধ্যমেই ক্ষমতা আকড়ে রাখার
কৌশল নিয়েছেন। এমন একটা কৌশল শেখ হাসিনা নিতে পারেন এটা নাকি বিরোধী জোটের ধারনায়ই
ছিল না!!!!
শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করতে পেরেছেন নির্বিঘেœ। তথাকথিত
বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা প্রমান করার মত
জামায়াতে ইসলামীর কাছে আজ পর্যন্ত কোন দালিলীক তথ্য খুজে পাওয়া যাবে না। এই বিচার
প্রহসন হয়েছে, সেটা প্রমানের জন্য তথ্য প্রমান ভিত্তিক কোন গবেষণা তাদের
রয়েছে বলেও অন্তত: আমার জানা নেই। মুখে মুখে যাই বলেন, প্রহসনের
প্রমান লাগবে। নতুবা এক সময় মানুষ বলবে আসলেই তারা ‘অপরাধী’ ছিলেন!
জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও
প্রক্রিয়াধীন। প্রশাসনিক নির্দেশে বা নির্বাহী আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে না। শেখ
হাসিনা তাঁর অনুগত আদালতকে ব্যবহার করেই জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করবেন। যেভাভে
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে আদালতের নির্দেশে। জামায়াতে ইসলামী
নিষিদ্ধের সময় আদালত কিছু আদেশও দেবে। এই আদেশে থাকার সম্ভবনার মধ্যে রয়েছে-
(ক) এই দলের কোন সদস্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে
না। এমনকি এই দলের সদস্য যারা ছিলেন তারা কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
(খ) এই দলের ছায়ায় যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সব গুলোকে সরকারের
অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠান গুলোর পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়া হবে তখন সরকারের
হাতে।
এই বিষয় গুলো মাথায় রেখেই জামায়াতে ইসলামীকে
এখন ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাংবাদিক: ওলিউল্লাহ নোমান
right
ReplyDelete