Header Ads

Header ADS

কম পুঁজির পনের (১৫) টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া....


কম পুঁজির পনের (১৫) টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া....
ধনী হতে কে না চায় বলুনসবাই বুকের বামপাশটায় ধনী হওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি পুষে রাখে। কেননা স্বার্থরঞ্জিত কোলাহলের এই পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অর্থের বেশি প্রয়োজন। আর এই স্বপ্ন পূরনের জন্য ব্যবসা আপনার মূল হাতিয়ার। অনেকেই নিজের ভিতরে একটি ভুল ধারনা পোষন করে যে “ধনী হতে হলে বড় বড় ব্যবসা করাই প্রয়োজনছোট ব্যবসা দিয়ে সম্ভব নয়।” আতঃপর পুঁজি কমের কারনে তারা ব্যবসায় হাত দিতে পারে না। কিন্তু কম পুঁজিতে ছোট ব্যবসা করেও ধীরে ধীরে ধনী ব্যক্তিতে রূপান্তর হওয়া সম্ভব। কেননা তিল থেকেই তাল হয়” তাই প্রথমে ছোট কিন্তু লাভজনক এসব ব্যবসায় হাত দিতে হবেতাহলেই বেলাশেষে সাফল্য সম্ভব। নিচে এমন ১৫ টি ছোট এবং লাভ জনক ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরা হলো।


১। মুদি দোকান: মুদি দোকান বলতে এমন একটি দোকানকে বোঝায় যেখানে নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনো বেকার নারী বা পুরুষ মুদি দোকানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। শারীরিকভাবে অক্ষম নারী-পুরুষভারী কাজে অক্ষম প্রতিবন্ধী ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। মুদি দোকানের যে সব পণ্য বিক্রি করা হয় তার চাহিদা সারাবছরই থাকে। এ ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে। মুদি দোকান মূলত হাটেবাজারে দেখা যায়। অথবা বসতবাড়ির বাইরের অংশে মুদির দোকান দেয়া যেতে পারে।
২। স্টেশনারি: বই-পুস্তকখাতা-কলমের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে অফিস আদালতব্যবসা-বাণিজ্য । এসব প্রতিষ্ঠানে রেজিস্টার খাতাপেন্সিলকলম ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। স্টেশনারিতে এই সব প্রয়োজনীয় খাতাকলমপেন্সিলরাবার ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব উপকরণের চাহিদা সব সময়ই থাকে।

৩। কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা: স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেকাঠের ফার্নিচার ব্যবসা এর মধ্যে অন্যতম। পুঁজি বেশি থাকলে যে কোনো ব্যক্তি কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রচেয়ার-টেবিল,খাট,আলমারিসৌখিন পণ্য ইত্যাদি তৈরি এবং কাঠের আসবাবপত্র বিক্রি করা উভয়ই ব্যবসা হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় এ ধরনের ব্যবসায়ীরা কাঠমিস্ত্রিদের কাছে অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র বানিয়ে দোকানে এনে বিক্রি করে থাকে।

৪। ব্যানার ও সাইনবোর্ডের দোকান: ব্যানার মূলত স্বল্প সময়ের অধিবেশন ও স্বল্পকালীন তথ্য প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই ব্যানার সাধারণত কাপড়ের উপর বিভিন্ন রং দিয়ে লেখা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত দোকানবিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুলকলেজমাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়অফিস-আদালতদোকান প্রভৃতির সামনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন নির্দেশ ও নানান দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত বেশি সময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এ কারণে সাইনবোর্ডে লেখার জন্য অ্যালুমিনিয়ামটিনকাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৫। কাঠের ব্লক তৈরি ও ব্যবসা: কাপড় ছাপানোর জন্য কাঠের ব্লক ব্যবহার করা হয়। শাড়িজমাটেবিল ক্লথটিভির পর্দাবিছানার চাদর ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরনের ব্লক ডিজাইন করা হয়। মানুষের রুচি পরিবর্তনের সাথে সাথে নিত্য নতুন ডিজাইনের চাহিদা দেখা দিচ্ছে। তাই নিত্য নতুন ডিজাইনের কাঠের ব্লক তৈরিকে পেশা হিসেবে নিয়ে যে কোনো ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এক রঙা কাপড়ে বিভিন্ন ডিজাইন ও বিভিন্ন রঙের ছাপ দিয়ে কাপড়টিকে আরো সুন্দর করে তোলা হয়। এই ছাপ দেওয়ার জন্য ডাইস প্রয়োজন। ডাইসগুলো কাঠের তৈরি হয়। ছোট ছোট কাঠের মধ্যে খোঁদাই করে এ ডাইস তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ডিজাইন ও সাইজের ব্লক ডাইস তৈরি ব্যবসা করে যে কোনো ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারেন।

৬। বই বাঁধানো: ব্যবসা-বাণিজ্যশিল্পকারখানাঅফিসব্যাংক সবখানেই হিসাবের খাতাসহ নানান ধরনের বই ও প্রকাশনা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এসব প্রকাশনাগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য বাঁধাই করার প্রয়োজন হয়। বই বাঁধাই না করলে এটি সহজে ছিঁড়ে যায়। মোটামুটি সব মৌসুমেই বই ও খাতা বাঁধানোর কাজ চলে। বই বাঁধানো শিখে যে কোনো ব্যক্তি সহজে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৭। ছবি বাঁধানোর ব্যবসা: ছবি বাঁধিয়ে রাখার মূল উদ্দেশ্য হল দৃষ্টি আকর্ষণরুমসজ্জা ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ। ছবি বাঁধানো এখন একটি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। সারাদেশে অনেক মানুষ এই পেশার সাথে যুক্ত আছে। মানুষ দিন দিন তার গৃহসজ্জার প্রতি সচেতন হয়ে উঠছে। ফলে এর অংশ হিসেবে বাড়ছে ছবি বাঁধাই-এর কাজ। বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের ফ্রেমে এখন ছবি বাঁধাই করা হচ্ছে।

৮। প্যাকেজিং: গ্রাম বা শহর সব জায়গার শাড়িজুতামিষ্টি প্রভৃতির দোকানে প্যাকেট দরকার হয়। ভালো প্যাকেজিং ছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি সম্ভব হয় না। উন্নত মানের প্যাকেজিং বাক্স তৈরি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা যেতে পারে।বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বাজারজাত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়। যেমন- শাড়ীর বাক্সজুতোর বাক্সবিরিয়ানীর বাক্স ইত্যাদি। মোটাশক্ত কাগজ দিয়ে এসব প্যাকেট তৈরি করাকে প্যাকেজিং বলা হয়।

৯। কাগজের ব্যাগ উৎপাদন: যে কোনো পণ্য উৎপাদনের পর তা প্যাকেটজাত করে ক্রেতা বা ব্যবহাকারীর কাছে পৌঁছে দিতে হয়। পরিবেশবান্ধব ও দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা যায় বলে প্যাকেটজাতকরণে কাগজের ব্যাগ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ এখন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। আগে যেখানে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করা হত বর্তমানে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কাগজের ব্যাগ। নানান রকম কাগজ দিয়ে কাগজের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। কাগজের ব্যাগ তৈরি করে স্থানীয় দোকানগুলোতে তা সরবরাহ করা যাবে

১০। গুঁড়ামসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ: উন্নত উপায়ে বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়া করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজটি দ্রুত ও ঝামেলাহীনভাবে শেষ করার জন্য বর্তমানে বাটা মসলার জায়গায় গুঁড়া মসলার ব্যবহার বাড়ছে। এর মধ্যে জিরাহলুদমরিচগরম মসলা ইত্যাদি অন্যতম। কাঁচামাল ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মেশিনে গুঁড়া করে উন্নত উপায়ে প্যাকেটজাত করতে পারলে এ ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

১১। ফলের দোকান: আমাদের দেশে বেশ কিছু মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। যেমন: আমলিচুকাঁঠালআনারসইত্যাদি। এসব মৌসুমি ফলে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। এসব মৌসুমি ফলের পাশাপাশি সারাবছর যে সব ফল পাওয়া যায় সেসব ফলের প্রচুর চাহিদা থাকে। এসব ফল বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়রেল স্টেশনের কাছে বা হাসপাতালের সামনে ফলের দোকান দিলে ব্যবসা ভালো চলবে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় মুদি দোকানের কাছে ফলের দোকান দেয়া যেতে পারে।

১২। ফুলের দোকান: নানা অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়। এই ফুলের জোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান। আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে শীতকালে বিয়েগায়েনানান সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে। এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে। ফুলের দোকান দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। বাজারের কেন্দ্র বা যে সব স্থানে লোকসমাগম হয় সে রকম স্থানে ফুলের দোকান দিতে হবে। 

১৩। কাগজের খাম তৈরি: সাধারণত খামে করে অফিস-আদালতব্যবসাস্কুল-কলেজের জরুরি কাগজপত্র ও চিঠিপত্র পাঠানো হয়। এছাড়া নববর্ষঈদপূজাসেমিনারজন্মদিন ইত্যাদির দাওয়াতপত্র ও শুভেচ্ছা কার্ড বিভিন্ন রকম খামে ভরে পাঠানো হয় । তাই খামের চাহিদা সব সময় থাকে। বিভিন্ন মাপের খাম তৈরি করে অফিস-আদালত ও স্টেশনারি দোকানে সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব।

১৪। মোমবাতি: দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে মোমবাতি অন্যতম। অল্প খরচের মধ্যে আলো পেতে মোমবাতি খুবই উপকারী পণ্য। কাঁচামাল হিসেবে প্যারাফিন ব্যবহার করে খুব সহজে মোমবাতি তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় সময়ে আলো দানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব নানা রং ও আকৃতির মোমবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন আকৃতির নকশা করা নানা রঙের মোমবাতির চাহিদা মূলত শহরেই বেশি দেখা যায়। এ জাতীয় মোমবাতি শহরের সৌখিন পণ্য বিক্রির দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে।


১৫। প্যাকেজিং ব্যবসা: গ্রাম বা শহর সব জায়গারজুতামিষ্টিখাবার প্রভৃতির দোকানে প্যাকেট দরকার হয়। ভালো প্যাকেজিং ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সম্ভব হয় না। উন্নতমানের প্যাকেজিং বাক্স তৈরি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী বাজারজাত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়। যেমন-  জুতোর বাক্স, বিরিয়ানীর বাক্স ইত্যাদি। মোটা কাগজ দিয়ে এসব প্যাকেট তৈরি করাকে প্যাকেজিং বলা হয়।

তথ্যসূত্র: বিডি মোটিভেটর।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.